ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের দাবীতে দুই দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন ।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঃঃ

প্রতিকি ছবি 

 ঠাকুরগাঁও জেলা রুহিয়া থানার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কশালগাঁও গ্রামের বিশু মোহাম্মদের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জয়া আক্তার হ্যাপী (১৬) দুই দিন ধরে প্রেমিক সাইমন সাইদুর বাড়িতে অনশন করার অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায় একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে সাইমন সাইদুরের সাথে জয়া আক্তার হ্যাপীর দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় কিন্তু প্রেমিক সাইমন সাইদুর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে এমন সময় প্রেমিকার মা দেখে ফেলে তখন প্রেমিক বাইসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় এবং এভাবে ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়, বিয়ের কথা বললে প্রেমিক বিয়ে করতে টালবাহানা করে। উপায় না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জয়া আক্তার হ্যাপী প্রেমিক সাইমন সাইদুর রহমানের বাড়িতে চলে যায়। 

এ বিষয় স্থানীয়রা বলেন, জয়া আক্তার হ্যাপী ও সাইমন সাইদুর প্রেমের সম্পর্কের জেরে জয়া আক্তার হ্যাপী সাইমন সাইদুরের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করে। 

তিনি আরও বলেন, বিষয় টা সামাজিক ভাবে সমাধানের জন্য শনিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্ব নাথ এবং স্থানীয় ব্যক্তিগণ ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করছেন কিন্তু অভিযুক্ত সাইমন সাইদুর ও তার পিতা স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেন পলাতক রয়েছে এবং কোন সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়ার কারণে জয়া আক্তার হ্যাপী প্রেমিক সাইমন সাইদুরের বাড়িতে অবস্থান চালিয়ে যায়। 

প্রেমিকা জয়া আক্তার হ্যাপীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইমন সাইদুরের সাথে আমার দীর্ঘ ২ বছর ধরে সম্পর্ক চলে, এবং সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কও করছে । 

জয়া আক্তার হ্যাপী আরও বলেন, আমি সাইমন সাইদুরকেই বিয়ে করব তাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না তাকে না পেলে আমি বাঁচব না।

দুই দিন ধরে পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক সাইমন সাইদুরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায় নি। 

 অভিযুক্ত প্রেমিক সাইমন সাইদুরের পিতা আবুল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করলে সংবাদ কর্মীর পরিচয় পাওয়া মাত্র মোবাইল কেটে দেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্ব নাথ বলেন,জয়া আক্তার হ্যাপীর বিয়ের দাবীতে অনশনের বিষয় শুনে আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম এবং চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবগত করছি কিন্তু অভিযুক্ত প্রেমিক এবং তার পিতা পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন বলেন, বিয়ের দাবীতে প্রেমিকার অনশনের বিষয় টা শুনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার পিতা আবুল হোসেনকে পাওয়া যায়নি।