অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ

 নিউজ ডেস্ক

(ছবি সংবাদদাতা)

নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো: রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

সুনির্দিষ্ট অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে অভিযোগপত্র কারিগরি বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাসেল ভুইয়া এ অভিযোগপত্র পাঠান। 

অভিযোগ পত্রে প্রতিষ্ঠানের গ্রীল বিক্রিতে কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম পালন করেন নি। নিলাম ছাড়াই গ্রীল বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বাৎসরিক ম্যাগাজিন ভিত্তিক যে কার্যক্রম হয়ে থাকে তাতে ব্যত্যয় ঘটেছে। অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ভাউচার করে নেন তিনি।

এ ছাড়াও উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিষ্ঠান সংস্কার না করেই টাকা তুলে নেবার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিও অভিযোগ রয়েছে।তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি হারান ঐ নারী।

তিনি জানান, আমি নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চাকরি করতাম। আমাকে অধ্যক্ষ রেজাউল করিম প্রায় কুপ্রস্তাব দিত আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে চাকরিচ্যুত করে। আমার সাথে ৪ জন নারী চাকরি করত তাদেরও সে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তাদেরও চাকরিচ্যুত করেন তিনি। আমাকে মোবাইলেও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলছে।

তিনি জানান, আমি অনুরোধ করি আমার চাকরিটা ফিরিয়ে দিতে আমার বাচ্চাগুলো নিয়ে বিপদে আছি চলতে পারছি না। কিন্তু তিনি উল্টো আমাকে হুমকি দিয়েছে। যদি অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হয় চাকরিও ফেরত পাবে না বরং তোমার বাচ্চাদের ক্ষতি হবে।

ঐ নারী প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে অধ্যক্ষের বিচার দাবি করেন এক ভিডিও বার্তাতে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, বিভিন্ন সময়ে তিনি কয়েকজন নারী কর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ও অশোভন আচরণ করেন।যারা তার অনৈতিক কাজ সাপোর্ট করে তাদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে এই অধ্যক্ষ।কাজের অর্থনৈতিক ভেনিফিশারি ভাগবাটোয়ারা করে নেন ঐ সিন্ডিকেট। অধ্যক্ষের কথা না শুনলে বেতন আটকিয়ে দেন শিক্ষকদের।

এসব অনিয়ম ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে

 ম্যানেজ করেন তিনি।

তথ্য গোপন করে নিয়মবহির্ভূত অধ্যক্ষ ও বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুটের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করে মিছিল বের করে নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল করিম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি ফোন ধরেন নি।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আলী আকবর খান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়ম চলবে না। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব  পালন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো: রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এসেছে তা আমরা খতিয়ে দেখব।

এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কাজের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এগুলো অন্তরায়। আমরা তদন্তপূর্বক এসব অনিয়মের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেব।

শাহাজাদ ইসলাম ঠাকুরগাঁও