ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
![]() |
বিডিসি নিউজ টেলিভিশন |
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩নং আকচা ইউনিয়নে অন্যের জমিতে পাকা ঘর নির্মানের সময় মারামারিতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩নং আকচা ইউনিয়নের নিমবাড়ীর কানিয়া মন্দির পাড়া এলাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনের নিজ ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে আনুমানিক প্রায় ৬/৭ বছর আগে স্থানীয় গরীব, অসহায় ও ছিন্নমূল কয়েকটি পরিবারকে সুব্রত চেয়ারম্যানের ধর্মজামাই প্রসন্ন কুমার বর্মনের মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে বুলুরাম কুমার বর্মন সহ কয়েকজনে বসবাসের জন্যে আশ্রয় দেন।
উক্ত পরিবারগুলো বসবাস করার এক পর্যায়ে গত ০৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে পাকা ঘর নির্মান করার সময় ধর্মজামাই প্রসন্ন কুমার বর্মন চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনকে পাকা ঘর নির্মান করার বিষয়টি মোবাইল ফোনে অবগত করলে তিনি কাজ বন্দ রাখার জন্য বলেন। ধর্মজামাই প্রসন্ন কুমার বর্মন ঘর নির্মানে বাধা দিতে গেলে এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারা মারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৬ জন জখম আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হয়।
আহত ব্যক্তিরা হলেন: প্রসন্ন কুমার বর্মণ (৪৮), জীবন কুমার বর্মণ (২১), হেমন্ত কুমার বর্মণ (৩৫), বুলুরাম কুমার বর্মণ (৪২) এবং তার দুই ছেলে অর্জুন কুমার বর্মণ (২৫) ও নতুন কুমার বর্মণ (২১)।
জে এল নং ১০৯, ২৮৬২ খতিয়ানে ৫৮৬ নং দাগে ৪৬ শতক জমিতে প্রসন্ন বর্মন তার নিকট আত্মীয় সুবাস চন্দ্র বর্মণ, বলুরাম চন্দ্র বর্মণ, হরেশ চন্দ্র বর্মণ, দেবেন চন্দ্র বর্মণ ও শংক চন্দ্র বর্মণকে বসবাসের জন্য আশ্রয় দেন।
উক্ত জমিতে বসবাসকারীরা বলেন , বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে জমির বাবদ প্রসন্ন কুমার বর্মণের নিকট বুলুরাম কুমার বর্মণ, হরেশ চন্দ্র বর্মণ, দেবেন চন্দ্র বর্মণ, সুবাস চন্দ্র বর্মণ কিছু টাকা দেন কিন্ত উক্ত টাকা দেয়ার সপক্ষে কোন ডুকুমেন্ট তারা দেখাতে পারেনি।
প্রসন্ন বর্মন বলেন, জমি টা চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনের বুলুরাম বর্মন সহ তারা আমার মামাতো ভাই তাদের বসতির জন্য জায়গা না থাকায় আমি চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে বসবাসের জন্য অনুমতি দেন। তারা এটাও বলছেন টাকা পয়সা হলে আলাদা জমি কিনলে জমি ছেড়ে চলে যাবে কিন্তু গত বৃহস্পতিবার হটাৎ করে বুলুরাম বর্মন অন্যের জমি স্থায়ী ভাবে দখলের জন্য পাকা ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার হিসেবে বলে আমাকে জমির বাবদ টাকা দিয়েছে এটা সম্পূর্ণ ভূয়া কথা। তিনি বলেন পাকা ঘর নির্মাণের খবর পেলে জমির মালিক চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মনকে অবগত করি এবং তাদের পাকা ঘর নির্মাণের বাধা দিতে গেলে আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা করে।
জমির মালিক চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন বলেন, বুলুরাম বর্মন সহ বেশ কয়জন অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারকে অস্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য আমার ধর্মজামাই অনুরোধ করলে আমি তাদেরকে অস্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমতি দেই কিন্তু তাদের মধ্যে এরূপ চিন্তা চেতনা থাকবে কে জানত। তিনি আরও বলেন আমি এখন আইনি ভাবে আমার দলিল কৃত জমি উদ্ধার করব।
এ বিষয় ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল আহমেদ বলেন এ বিষয় কেউ কোন অভিযোগ করে নি।
সঠিক সমাধান চাই
উত্তরমুছুনআপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
মুছুনসঠিক বিচার চাই
উত্তরমুছুন