still attribute

🙋"আসসালামুয়ালাইকুম" আমার ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার জন্য ধন্যবাদ""সাইট গাইডলাইন মেনে চলুন নামাজ কায়েম করুন নামাজ বেহেশতের চাবি। (⁠☞বি:দ্র: এই সাইটি ব্যাক্তিগত ও পাবলিক,ব্যাসায়ের উদ্দেশে তৈরি করা হয় নি) "শাহাজাদ ইসলাম" ঢোলার হাট রুহিয়া ঠাকুরগাঁও বাংলাদেশ ৫১০১🇧🇩 মোবাইল 📞+৮৮০১৭২১৪৪৭২৩০ ইমেইল☞⁠ sahajadislam2019@gmail.com

-->

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প।

শাহাজাদ ইসলাম ঠাকুরগাঁও:

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প।
ছবি শাহাজাদ ইসলাম 



দিন চলে যায়, সময় হারিয়ে যায়, অতীতের অদৃশ্য গহ্বরে। তবে সে শুধু চলেই যায় না, রেখে যায় ইতিহাস ও ঐতিহ্য। যুগে যুগে পৃথিবীর একেক মহাদেশে গড়ে উঠেছে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতি।


তাই এক সময় যেমন গ্রামের আনাচে-কানাচে ঘুড়ি উড়ত, তেমনি শোভা পেত মাটির হাঁড়ি-পাতিল, ফুলদানি, খেলনা ও ঘরের নানা সাজসজ্জার জিনিস। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রপাতি আর প্লাস্টিক-পোরসেলিন পণ্যের ভিড়ে এখন হারিয়ে যেতে বসেছে এই মাটির ছোঁয়ায় গড়া ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প।
মাটির জিনিস পত্র তৈরিতে ব্যস্ত নাড়ি


মৃৎ’অর্থ মাটি আর ‘শিল্প’শব্দের অর্থ সুন্দর, সৃষ্টিশীল বস্তু। তাই মাটি দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মকে ‘মৃৎশিল্প’ বলে। এবং যারা এই শিল্পকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বলা হয় কুমার। কুমাররা অসম্ভব শৈল্পিক দক্ষতা ও মনের মধ্যে লুক্কায়িত মাধুর্য দিয়ে চোখ ধাঁধানো সব কাজ করে থাকেন। এই শিল্পটি হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও অন্যতম একটি শিল্প। যা বাংলাদেশের ঐতিহ্য বহন করে।




ঠাকুরগাঁও জেলার মৃৎশিল্পের ইতিহাস শত শত বছরের। এক সময় এখানকার কুমারদের হাতে তৈরি মাটির জিনিস পত্রের ব্যাপক চাহিদা ছিল। 


ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগে বহু পরিবার পৈতৃকভাবে মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা নানা রকম নকশা ও আকৃতির মাটির জিনিসপত্র তৈরি করত। এসব পণ্য স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাঁরা। এখন সেই চিত্র পাল্টে গেছে।


আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প।
ছবি মাটির জিনিস পত্র 



আকাঁচা ইউনিয়নের ফারাবাড়িহাটে মৃৎশিল্পী বাবু কুমার বলেন, “আগে হাটে নিয়ে গেলে সব পণ্য বিক্রি হয়ে যেত। এখন তো কেউ মাটির হাঁড়ি চায় না, সবাই চায় স্টিল বা প্লাস্টিক। তাই আগ্রহ কমে গেছে।”


মৃৎশিল্পীরা জানান, একদিকে কাঁচামাল ও জ্বালানি খরচ বেড়েছে, অন্যদিকে নেই সরকারি কোনো সহায়তা। ফলে পেশা টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাদের সন্তানরাও এখন আর এই পেশায় আসতে চায় না।


ঠাকুরগাঁও শিল্প ও কারুশিল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার বেশ কিছু এলাকায় এখনো কিছু পরিবার মৃৎশিল্প ধরে রেখেছে। 


স্থানীয়রা মনে করেন, এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে চাই সরকারি উদ্যোগ, প্রশিক্ষণ, সৃষ্টিশীল ডিজাইন, এবং অনলাইন বিপণনের সুযোগ সুবিধা যদি পাই।


মাটির গন্ধ আর শিল্পীর ছোঁয়া মিশে থাকা এই ঐতিহ্য যেন চিরতরে হারিয়ে না যায় এটাই এখন সময়ের দাবি।


১/৭/২০২৫

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

❝আমার সাইটে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো রুচিশীল মন্তব্য ব্যাবহার করুন ❞🙂

নবীনতর পূর্বতন